আপনাদের কাছে সাম্প্রতিক ঘটা একটি ঘটনা শেয়ার করতে চাই।ঘটনা স্থল:মাওনা,শ্রীপুর,গাজীপুর।নাম : ময়না নামক ভদ্র মহিলা।বিষয়: ভিক্ষাটাই আমার কাছে উত্তম কাজ।ঘটনা: প্রতিদিন এর মতই কিতাব আলী মাষ্টার টাওয়ার এর নিচতলায় বসে থাকে এক ভদ্র মহিলা ও তার দুই সন্তান।আমাদের ফাউন্ডেশন কোন এক সদস্য তা লক্ষ করে,কিছুক্ষন যাবত তার কর্মকান্ড দেখতে থাকে।আমরা আশ্চর্য হয়ে যাই ভদ্র মহিলার কর্মকান্ড দেখে।উনি রীতিমত ভিক্ষার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন।কিন্তু এক ঘন্টা যাবত দেখলাম তার কপালে মাত্র ২ টাকা জমেছে। তাই আমরা ভদ্র মহিলার কাছে গেলাম এবং কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করলাম। ভদ্র মহিলা থেকে জানতে পারলাম উনার স্বামী ১বছর আগে মারা গেছে।তার দুই সন্তান বড় ছেলে কালন ও ছোট ছেলে সাগর।ব্যাতিত আর কেউ নেই ভদ্র মহিলার।তিনি জানালেন ভিক্ষা করে যে টাকা পায় তাতে তার দিনে দু বেলা ভাত ও জোটে না।তিনি ভিক্ষার জন্য আসে কিন্তু কারো কাছে ভিক্ষা চান না। তা দেখে আমরা আশ্চর্য হয়ে যাই।আমরা তাই তাকে প্রশ্নটি করি, তিনি উত্তরে বলেন: ভিক্ষা ছাড়া কোন কান ধরনের কাজ করতে আমি অক্ষম,কিন্তু ভিক্ষা আমার পছন্দ না।নিজের সন্তান দের দিকে তাকিয়ে তাই করতে হয়।মানুষের কাছে টাকা চাইতে আমার নিজেকে অপরাধী মনে হয়,তাই কারো কাছে চাই না।চাওয়ার ইচ্ছা ও জাগে না।আমরা ভদ্র মহিলার কথাশুনে আমরা ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে সাহায্য এর কথা বলি।তিনি উত্তর দেন : ভাই আপাদত আমার প্রয়োজন নাই।যদি পারেন ত একটি কাজ এর ব্যাবস্থা করে দেন যাতে আমার সন্তানের জন্য কিছু করতে পারি।আমরা ভদ্র মহিলাকে সাহায্য করতে চাই আপনাদের মাধ্যমে।আমরা চাই ভদ্র মহিলার সান্তান যেন দেশের বোঝা নয় আগামীর ভবিষ্যৎ হিসেবে দাড়ায়।আমরা যদি পারি তো ভদ্র মহিলার জন্য কিছু সাহায্যের হাত বাড়াই।ভদ্র মহিলা এখনো নিয়মিত কিতাব আলী মাষ্টার টাওয়ার এর নিচে বসেন।দ়ুঃখজনক বেপার হলো আমরা তার চিত্র ধারন করতে পারিনি।আমরা চাই উনার সন্তানের ভবিষ্যৎ।যদি পারি তো সাহায্যের হাত বাড়াই।বিস্তারিত জানতে বা সাহায্য করতে চাই লে উক্ত ঠিকানায় আমাদের জানান। www.facebook.com/ekotafoundation.org ekota foundation আপনার সহায়তায় বদলে দিবে বাংলাদেশ।